বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা সহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তায় প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা। আগ্রহী ও যোগ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে আগামী ০৪ অক্টোবরের ময়াধ্যে আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে।
সরকারি বেসরকারি সব ধরনের চাকরির খবর সবার আগে পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বেসামরিক জব সার্কুলার 2023 সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেখতে নিচের লেখা লক্ষ্য করুন। এছাড়া আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য নিচের সার্কুলারের ছবি দেখুন!
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বেসামরিক পদে নিয়োগ সার্কুলার 2023
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেসামরিক, অসামরিক পদের নিয়োগ সার্কুলার 2023 প্রকাশ হয়েছে। আর্মি সিভিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে www.army.mil.bd সাইটে ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে।
Senabahini CIVIL Job Circular Image, নিয়োগ প্রক্রিয়া, মাসিক বেতন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আবেদনের সময়সীমা ও বিস্তারিত তথ্য নিচে পাবেন।
সেনাবাহিনী বেসামরিক নিয়োগ 2023 সার্কুলার যাবতীয় তথ্য
প্রতিষ্ঠানের নাম | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
চাকরির ক্যাটাগরি | বাহিনী চাকরি |
পদের সংখ্যা | ৩৩০ টি পদ |
বয়স | সর্বোচ্চ ১৮-৩০ বছর |
শিক্ষাগত যোগ্যতা | JSC,SSC,HSC,Honors |
আবেদনের মাধ্যম | ডাকযোগে |
আবেদন ফি | ২০০ টাকা |
আবেদন শুরু | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ |
আবেদন শেষ | ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | www.army.mil.bd |
আর্মি সিভিল নিয়োগ 2023
Senabahini CIVIL Job Circular 2023
সেনাবাহিনী সিভিল জব আবেদন ফরম
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: joinbangladesharmy.army.mil.bd
সেনাবাহিনী বেসামরিক নিয়োগ শর্তাবলী
- প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও মৌখিক পরীক্ষা প্রাথমিক নির্বাচনী (স্বাস্থ্য ও মৌখিক) পরীক্ষা বিভিন্ন সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হবে। কোন প্রার্থী পরীক্ষার দিন উপস্থিত হতে অপারগ হলে বর্ণিত সময়ের মধ্যে যে কোন দিন উপস্থিত হয়ে উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি পূর্বেই সরাসরি নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে জানাতে হবে।
- প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে বাংলা, ইংরেজী, সাধারণ গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে সাক্ষাৎকার পত্রে উল্লেখিত স্থানে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
- লিখিত পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত আইএসএসবি এর নিকট পরীক্ষা/সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে হবে। পরীক্ষা/সাক্ষাৎকারের তারিখ আইএসএসবি’র ওয়েবসাইট তে প্রকাশ করা হবে। এই পরীক্ষা চার দিনে সম্পন্ন হবে এবং যাবতীয় ব্যয় সরকার কর্তৃক বহন করা হবে।
- আইএসএসবি পরীক্ষা চলাকালীন প্রার্থীদেরকে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। চূড়ান্ত নির্বাচন এবং যোগদান নির্দেশিকা প্রদান। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে প্রার্থীদেরকে সেনাসদর, এজি’র শাখা (পিএ পরিদপ্তর) কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ঘোষণা এবং পরবর্তীতে যোগদান নির্দেশিকা প্রদান করা হবে।
- ক্যাডেটগণ একাডেমিতে ৩ (তিন) বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। ৪র্থ বছর বিএমএ/এমআইএসটি’তে অবস্থান করে অফিসার হিসেবে স্নাতক (সম্মান)/ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রী সমূহ সম্পন্ন করবেন।
- সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাদিসহ সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযারী অফিসার ক্যাডেটগণ বেতন ও ভাতা প্রাপ্ত হবেন। পরবে কমিশন প্রাপ্তির পর লেফটেন্যান্ট-এর বেতন ভাতা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।
- বিদেশে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্যায়ে এবং কমিশন প্রান্তির পর মেধাবী ক্যাডেট এবং অফিসারগণের প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে গমনের সুযোগ।
- ব্যক্তিগত যোগ্যতার ভিত্তিতে স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ। বাসস্থান নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে মানসম্পন্ন সুসজ্জিত বাসস্থান প্রাপ্তির সুযোগ।
- চিকিৎসা সামরিক হাসপাতালসমূহে উন্নতমানের চিকিৎসা সুবিধা ও দূরারোগ্য ব্যাধিতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিধি মোতাবেক নগদ অর্থ প্রদানসহ বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা।
- সামরিক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে প্রার্থীদেরকে বিএমএ’তে যোগদানের পূর্বে সাঁতার শেখার জন্য উপদেশ দেয়া হলো। ক্যাডেট কলেজ/বিএনসিসি/এমসিএসকে-এর ক্যাডেটদের স্ব-স্ব কলেজ/রেজিমেন্টের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
- বিজ্ঞপ্তির যে কোন অংশ পরিবর্তনের ক্ষমতা সেনাসদর সংরক্ষণ করে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের যোগদান পত্র প্রদান/বাতিলের ক্ষমতা সেনাসদর সংরক্ষণ করে। আবেদনের শেষ তারিখঃ ৩১ আগস্ট, ২০২৩
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আত্মপ্রকাশ করেছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লক্ষ্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছাড়াও জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় বেসামরিক সরকারকে সহায়তা করে থাকে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকাঃ
একুশ শতকের traditionalতিহ্যবাহী ও অপ্রচলিত হুমকী ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি প্রশিক্ষিত ও সুসজ্জিত প্রতিরোধক স্থলবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা হ’ল:
- সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা।
- জমি কার্যক্রমের সমর্থনে নাগরিক সংস্থার একত্রিত করার পরিকল্পনা ও বিকাশ করা।
- দায়িত্ব অর্পিত হলে অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষণাবেক্ষণে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তা করা।
- অনুরোধ করা হলে দুর্যোগ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিচালনায় নাগরিক প্রশাসনকে সহায়তা করা।
- জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যেমন অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তখন অংশ নেওয়া।
- জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানকে সমর্থন করা।
- সংসদে অনুমোদিত হলে অন্যান্য জাতির সাথে জোটের অভিযানে অংশ নেওয়া।
অর্জন ও অবদানঃ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কৃতিত্ব ও অবদানের জন্য ৫ টি বিস্তৃত বিভাগের অপারেশনাল ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে ফিরে আসতে হবে। এগুলি হ’ল অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা অভিযান, পার্বত্য চট্টগ্রামের কাউন্টার ইন্সার্জেন্সি অপারেশনস (সিআইও), অবকাঠামো ও দেশ গঠনের কার্যক্রম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা এবং জাতিসংঘের শান্তি রক্ষার কার্যক্রম।